মালয়েশিয়াতে চার বছর কাটানোর পর আবারও দেশে ঈদ পালন করার অভিজ্ঞতা
একই উৎসব, একেক দেশে একেক রকম যার রঙ
একটানা প্রায় পৌনে চার বছর মালয়েশিয়াতে কাটানোর পর এবার আবারও দেশে ঈদ পালন করার সুযোগ হলো। এই চার বছরে চারটি রমযান এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা মিলিয়ে মোট আটটি ঈদ সেখানে পালন করেছি। অনেক অভিজ্ঞতা। অনেক স্মৃতি।
রমযান মাস শুরু হওয়ার আগে থেকেই ওখানকার সুপারস্টোরগুলোতে ঢুকতে গেলে চোখে পড়ে রমযানকে স্বাগত জানিয়ে করা ডেকোরেশন। একেবারে সামনেই সাজানো থাকে খেজুরসহ এই মাসের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারদাবার ও ইফতার তৈরির উপকরণ। রমযানের সাথে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ পণ্যে থাকে মূল্যছাড়।
রমযানের শুরুতেই অফিস ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সেজে ওঠে ঈদের সাজে। ঈদকে ওরা বলে ‘হারি রায়া’। মার্কেটে বাজতে থাকে ‘হারি রায়া’-র গান। একেক বছর একেকটি গান জনপ্রিয়তা পায়। দোকানে দোকানে ঈদ উপলক্ষে চলে ব্যাপক মূল্যছাড়। ঈদের কয়েকদিন পরে পর্যন্ত এই অফারগুলো চালু থাকে। দেখেশুনে কিনতে পারলে কম দামে অনেক ভালো মানের কাপড়চোপড় পাওয়া যায়। কোনো কোনো আইটেমে ৫০%, এমনকি ৭০% পর্যন্ত মূল্যছাড়ও আমি দেখেছি। তবে, এত সাজ সাজ রবের পরেও রমযান মাসে অফিসের সময় কমানো হয় না।
রমযানের শেষের দিকে স্থানীয় মালয়রা প্রায় সবাই ঈদ করতে চলে যায় গ্রামের বাড়িতে। ঈদে বাড়ি ফেরাকে ওরা বলে ‘বালিক কাম্পুং’। বড় শহরগুলো অনেক ফাঁকা হয়ে যায়।
ঈদের পূর্ব রাতে এশার ফরয নামাযের পরে মসজিদগুলোতে অনেকক্ষণ ধরে ঈদের তাকবির দেওয়া হয়। শুনতেই ভালো লাগে। ফজরের নামাযের পর আবারও তাকবির দেওয়া হয়। আর ঈদের নামায শুরু হওয়ার বেশ আগে থেকে নিয়ে ঈদের নামায শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত লম্বা সময় ধরে ঈদের তাকবির দেওয়া হয়। এবার দেশে ঈদ পালন করতে গিয়ে সুললিত এই তাকবির ধ্বনিকে অনেক মিস করেছি।
ছেলে ও মেয়ে সবাই ওখানকার ঈদের নামাযে অংশ নেয়। আমাদের দেশের মতো মেয়েদের জন্য মসজিদের দরজা ওখানে বন্ধ নয়। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মেয়েদেরকে ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এমনকি, যেসব মহিলা ওই সময়ে নামায আদায় করেন না তাদেরকেও তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদের মজলিসে শামিল থাকার জন্য উৎসাহিত করেছেন। দুঃখজনকভাবে, ভারতীয় উপমহাদেশে আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এই নির্দেশনাটি মানা হয় না বললেই চলে। আমি সেই দিনের স্বপ্ন দেখি যেদিন আমাদের দেশেও ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও ব্যাপক সংখ্যায় ঈদের জামাতে উপস্থিত থাকবে।
মালয়েশিয়াতে থাকাকালীন প্রতিবারই আমি সস্ত্রীক ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছি। আমার স্ত্রীর জীবনে ওই আটটা ঈদই ছিলো ঈদের প্রধানতম ধর্মীয় উৎসবে শামিল হওয়ার একমাত্র সুযোগ। এর আগে দেশে থাকতে ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার সুযোগ তার কখনোই হয়নি।
মালয়েশিয়ার মানুষ শাফেঈ মাযহাবের অনুসারী। শাফেঈ মাযহাব অনুযায়ী ঈদের নামাযের প্রথম রাকাতে কুরআন তিলাওয়াত শুরুর আগে সাতটি অতিরিক্ত তাকবির এবং দ্বিতীয় রাকাতে কুরআন তিলাওয়াত শুরুর আগে আরও পাঁচটি অতিরিক্ত তাকবির – এই মোট বারোটি অতিরিক্ত তাকবির পড়া হয়। নামাযের শেষে ওদের স্থানীয় ভাষায় ঈদের খুতবা দেওয়া হয়।
সেই সকাল থেকে ভেসে আসা তাকবির ধ্বনি, মুসল্লিদের পরিধান করা ঐতিহ্যবাহী মালয় পোশাক – সব মিলিয়ে সুন্দর একটি আবহ তৈরি হয়। এরই মধ্যে চোখ চলে যায় ওখানে কাজ করা আমাদের দেশীয় শ্রমিকদের দিকে। চেহারায় কোনো ফিটফাট ভাব নেই। পুরনো শার্ট পরা। তাদের চেহারায় ও পরনে দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট। অনেক কষ্ট করে অল্প কিছু রিঙ্গিত তারা উপার্জন করেন। তা দিয়েই নিজের মাসের খরচ মেটাতে হয়। দেশে টাকা পাঠাতে হয়। বৈধভাবে থাকতে হলে প্রতি বছর কয়েক হাজার রিঙ্গিত বাড়তি খরচ করতে হয়। সময়ে সময়ে পুলিশকে ঘুষ দিতে হয়। এত কম আয় করা শ্রমিকদের কাছ থেকে কাগজপত্র ঠিক রাখার জন্য এত অধিক অর্থ আদায় করা বড় এক যুলুম। মালয়েশিয়া সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। বাংলাদেশে বসে বসে যারা তাদের রক্ত পানি করা এই টাকা দেদারসে খরচ করছে তাদেরও সুমতি হোক। এত কষ্টের টাকা পরিবারের সদস্যরা কান্ডজ্ঞানহীনের মতো খরচ করছে – এটাও কম বড় যুলুম নয়।
ঈদের নামাযের পরে খাওয়াদাওয়া ও ঘোরাঘুরির চল পৃথিবীর অন্যান্য সমস্ত মুসলিম সমাজের মতো ওখানেও আছে। প্রবাসী বাঙালিরা ঈদের দিনে সেখানে খাওয়াদাওয়া কম করেন এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই।
ঈদের বেশ কয়েকদিন পর থেকে নিয়ে প্রায় এক মাস পর্যন্ত চলে উৎসব। আজ এখানে ‘জামুয়ান’, তো কাল ওখানে। ‘জামুয়ান’ মানে হলো ভোজ। ওদের একটা প্রবাদ আছে: এক মাস ‘পুয়াসা’, এরপর এক মাস ‘রায়া’। ‘পুয়াসা’ মানে রোযা আর ‘রায়া’ মানে হলো উৎসব। তবে, মাসব্যাপী এত খাওয়াদাওয়া ও উৎসবের মধ্যেও শাওয়াল মাসের ছয়টি নফল রোযা রাখার চেষ্টা তারা অনেকেই করে। শাওয়ালের ছয় রোযা একরকম ওদের সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে গেছে।
এতদিন পর দেশে ফিরে এবারের রমযানটি বেশ ভালোই কাটল। আলহামদুলিল্লাহ। দীর্ঘ এক মাস ধরে প্রতিদিন ১৫ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে রোযা রাখাকে আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। তাঁর বিশেষ অনুগ্রহ না থাকলে আমরা কেউই এত লম্বা সময় ধরে প্রতিটি রোযা রাখতে পারতাম না।
এরই মধ্যে রোযার প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ করে একদিন আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে শরীর থেকে দ্রুত পানি বেরিয়ে যাচ্ছিল। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে ওই দিনের রোযাটুকু শেষ করতে অনেক কষ্ট হয়েছিল। পরের দিন রোযা রাখতে পারব কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ছিলাম। রমযান মাসের একটি দিন পার হয়ে যাবে আর আমি রোযা রাখতে পারব না – এ বড় কষ্টের এক অভিজ্ঞতা। এমনটা ভাবতেও তো মনটা বিষন্ন হয়ে যায়। ইফতারের পর এক প্রতিবেশী ডাক্তারের বাসায় গেলাম, যিনি আবার হলেন অমুসলিম। ওষুধপত্র দিলেন। আর বললেন সেহরি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। অবস্থার উন্নতি হলে পরেরদিন সাহস করে রোযা শুরু করা যেতে পারে। তবে, রোযা শুরু করার পরে একবারও যদি সমস্যা হয় তাহলে সাথে সাথে রোযা ভেঙে ফেলে স্যালাইন খেতে হবে। আল্লাহর রহমতে ওই রাতেই অবস্থার উন্নতি হলো। আল্লাহর উপর ভরসা করে রোযা শুরু করলাম। দিনের বেলায় আর কোনো সমস্যা হলো না। এরকম অবস্থায়ও রোযা রাখতে আমাকে সাহস দেওয়ার কারণে আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দিন। আল্লাহ সুস্থ না করলে এবার রমযানের প্রতিটি রোযা আমি রাখতে পারতাম না।
অনেক বছর পর এবার আবারও খতম তারাবীহ আদায় করার সুযোগ হলো। মালয়েশিয়াতে আমি যেখানে ছিলাম সেখানকার মসজিদে কোনোবারই খতম তারাবীহ হয়নি। প্রথম বছর ওখানে বিশ রাকাত তারাবীহ হয়েছিল, কিন্তু কুরআন খতম করেনি। পরের প্রতিটি বছরে আট রাকাত করে তারাবীহ পড়িয়েছিল। তবে, আট রাকাত ও বিশ রাকাত নিয়ে কোনো মারামারির খবর কোনোবারই আমার কানে আসেনি। যত রাকাত তারাবীহ আদায় করুক না কেন, অতি দ্রুত তিলাওয়াত করতে আমি তাদেরকে একবাটিরও দেখিনি।
এবছর তারাবীহর প্রথম ছয় রাতে – যখন প্রতিদিন দেড় পারা করে কুরআন তিলাওয়াত করা হয় – আমি সবসময় যেখানে জামাতে নামায আদায় করি সেখানেই গিয়েছি। কিন্তু, হাফেয সাহেবরা এত দ্রুত তিলাওয়াত করছিলেন যে, চেনাজানা আয়াত পর্যন্ত অস্পষ্ট লাগছিল। অভক্তি নিয়েই তারাবীহ আদায় করতে লাগলাম। এভাবে নামাযে দাঁড়িয়ে থাকব, নাকি চলে যাব – মনের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব সবসময় কাজ করত। মালয়েশিয়াতে থাকা অবস্থায় যে বছর আমাদের বাচ্চার জন্ম হলো সে বছর সব মিলিয়ে দুই কি তিন রাত মসজিদে তারাবীহ আদায় করতে পেরেছিলাম। পরের বছরও কোনোদিন তারাবীহতে যেতে পেরেছি তো কোনোদিন পারিনি। সব মিলিয়ে, এত বছর পরে আবারও খতম তারাবীহ আদায় করার সুযোগ পেয়েছি বলে চলে যেতেও মনের মধ্যে একটা খচখচানি কাজ করত। ফলে, একদিনও তারাবীহ বাদ দিয়ে উঠে আসতে পারিনি।
যেদিন অসুস্থ হয়ে পড়লাম সেদিন মাগরিব, এশা ও তারাবীহ জামাতের সাথে আদায় করতে পারলাম না। পরের রাতে বা এক-দুই রাত পরে একটু সুস্থ হয়ে গেলাম পাশের এক মসজিদে। আলহামদুলিল্লাহ, সুন্দর তিলাওয়াত। কোনো তাড়াহুড়ো নেই। সেখান থেকে নিয়ে ২৭তম রাত পর্যন্ত অধিকাংশ রাতেই সেখানে তারাবীহ আদায় করেছি। খতমের দিনে শেষ ছয় রাকাত যিনি পড়িয়েছেন তার তিলাওয়াত ছিল অবিকল ক্বারী মিশারী রাশিদ আল-আফাসির মতো। সে অসাধারণ এক অনুভূতি। তাঁর নকল যদি এত সুন্দর হয় তাহলে খোদ আল-আফাসির কন্ঠ থেকে নিসৃত কুরআন তিলাওয়াত শুনতে পারাটা কতই না অধিক সুন্দর ও আবেগময়!
২৯তম রোযার শেষে সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে ঈদের চাঁদ উদিত হলো। পরের দিন ঈদ। দীর্ঘ চার বছর পর আবারও দেশে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছি।
গত চার বছরের আটটি ঈদে নিয়মিত হয়ে যাওয়া একটি অভ্যাসে এই প্রথম ছেদ পড়ল। স্ত্রীকে রেখে একাই ঈদের জামাতে যেতে হলো। মালয়েশিয়াতে থাকা অবস্থায় আমাদের বাচ্চার সাথে মোট চারটি ঈদ আমরা কাটিয়েছি। সেই ছোট্ট বয়স থেকেই এই প্রতিটি ঈদের জামাতে সে-ও উপস্থিত থেকেছে। এবার নিতে পারিনি। সৌভাগ্যক্রমে, আমাদের বাসার পাশের একটি মসজিদে মেয়েদের জন্য ঈদের নামায আদায় করার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু, বদ্ধ জায়গা দেখলে বাচ্চা যেহেতু ভয় পায় তাই তাদেরকে সঙ্গে নেওয়া যায়নি। বাচ্চাটা আরেকটু বড় হলে ও বুঝতে শিখলে এবং তখনও আমরা এখানে থাকলে আবারও তাদেরকে নিয়ে ঈদের জামাতে শামিল হতে পারব, ইনশাআল্লাহ। পক্ষান্তরে, দেশের মধ্যে অন্য কোথাও চলে গেলে আমার স্ত্রীর জীবনে ঈদের জামাতে শামিল হওয়ার সুযোগটুকু হয়তো আর কখনোই আসবে না।
একদিকে স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে ঈদের জামাতে যেতে একরকম খালি খালি লাগছিল, অন্যদিকে মসজিদে গিয়েও চেনা সেই তাকবির ধ্বনির অনুপস্থিতিতে কী যেন নেই বলে মনে হচ্ছিল। আগের রাতে মাত্র এক ঘন্টার মতো ঘুমিয়েছিলাম, তাই ঈদের জামাত শেষে বাসায় ফিরে দুপুর পর্যন্ত একটা ঘুম দিলাম। ঈদের দিনের অর্ধেকটা এভাবেই শেষ হলো।
বিকেল বেলায় বৌ-বাচ্চাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হলাম। বেশিরভাগ রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও বিনোদন কেন্দ্র, খাওয়ার দোকান ও পার্কে দেখলাম মানুষের উপচে পড়া ভিড়। একটা লেকে ঢুকতে গিয়ে তো প্রচন্ড চাপাচাপি ও ভিড় ঠেলতে হলো। ভিতরে ভালোমতো দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত নেই। ধুলোময়। নোংরা। শ্রীহীন। কোনো রকমে লেকের ধার দিয়ে খানিকটা পথ হেঁটে একটা রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসতে বাধ্য হলাম। কারও বাসায় বা খাবারের দোকানে না গেলে এই ঢাকা শহরে ছোট বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মতো ভালো কোনো জায়গা নেই। যেটুকুও বা আছে সেখানেও ঈদের সময়ে বাচ্চা নিয়ে পা ফেলার মতো অবস্থা থাকে না।
এই শহরে এমনতর পরিস্থিতির মধ্যে যেসব বাচ্চা বেড়ে উঠতে বাধ্য হচ্ছে তারা প্রায় প্রত্যেকেই হবে অসামাজিক। বাচ্চাদের সুস্থ শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পরিবেশ এখানে আর নেই। এখন যে পরিমাণ মানুষ এখানে বসবাস করছে তা ধারণ করার মতো সক্ষমতা ঢাকার নেই। যত ভালো পরিকল্পনা করা হোক না কেন, এত অধিক সংখ্যক মানুষ এত অল্প একটু জায়গার মধ্যে থাকতে পারে না।
যা-ই হোক, এভাবেই চললো এবারের ঈদ উৎসব। দীর্ঘ এক মাস রোযা রাখার পর ঈদের কয়েক দিনে হঠাৎ করে খাওয়াদাওয়াটা একটু বেশিই হয়ে যায়। ফলাফল, বুকের মধ্যে গ্যাসের ব্যথা। মালয়েশিয়াতে যে আটটি ঈদ কাটিয়েছি সেখানেও যে খাওয়াদাওয়া কম করেছি তা নয়, কিন্তু তারপরও ঈদের সময়ে গ্যাসের ব্যথায় ভুগতে হয়নি। দেশে আমরা যেসব খাবার খাচ্ছি তার মধ্যে অবশ্যই বড় ধরণের সমস্যা আছে। কিছু মানুষের অনৈতিক মুনাফার খেসারত দিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রতিটি মানুষ। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের কার সামনে কী রোগবালাই অপেক্ষা করছে তা আল্লাহই ভালো জানেন।
তারপরও, ঈদ বলে কথা। এরই মধ্যে নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে হবে। এরই মধ্যে ঈদ উদযাপন করতে হবে। তবুও চাই, আমাদের বাচ্চার ভবিষ্যতের ঈদগুলো যেন এমন যান্ত্রিক না হয়। কীভাবে জানি না, তবে খোলা আকাশের নিচে প্রশান্ত পরিবেশে মৃদুমন্দ বাতাসের মধ্যে সে তার আগামীর ঈদগুলো উপভোগ করছে এই স্বপ্ন আমি দেখি। আল্লাহই জানেন বাস্তবে তেমনটি হবে কি না।
সবাইকে ঈদ মুবারক!